কম্পিউটার কেনার সময় আমরা খুব যত্ন করে
সব কিছু ঘেটে দেখলেও কম্পিউটারের
সাথে রিলেটেড কিছু ডিভাইস কেনার
সময় আমরা বলা চলে চিন্তা ভাবনা না
করেই কিনে ফেলি। এগুলোর মধ্যে একটি
হচ্ছে পেনড্রাইভ। পেনড্রাইভ কেনার সময়
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবহারকারীরা যা
করে থাকে তা হচ্ছে বাজারে গিয়ে
স্টোরেজ, কালার, রঙ ইত্যাদি মিলিয়ে
কিনে ফেলে। কিন্তু পেনড্রাইভ কেনার
আগেও কিছু বিষয় খেয়াল করেই কেনা
উচিৎ।
…
♥সস্তা পেনড্রাইভ না কেনাই ভালো:
↓
আপনি প্রযুক্তি বাজারে এমন অনেক
পেনড্রাইভ পাবেন যেগুলো অন্য একটি
পেনড্রাইভের মত একই স্পেসিফিকেশনের
হবার পরেও দাম ঐ পেনড্রাইভটি থেকে
অনেক কম। কেন? কেননা পেনড্রাইভ দুটি
একই মানের স্পেসিফিকেশনের হলেও
এগুলোর কম্পোনেন্ট আলাদা। আপনি
হয়তো কম মূল্যের বেশি স্টোরেজের
একটি পেনড্রাইভ কম মূল্যে কিনে সাময়িক
ভাবে জিতে যেতে পারেন তবে লং-
রানের ক্ষেত্রে পেনড্রাইভটি খুব বেশি
সময় ধরে আপনাকে সাপোর্ট প্রদান করবে
না। তাই পেনড্রাইভের স্টোরেজ আর
প্রাইসের উপরেই শুধু ধ্যান না রেখে
ব্র্যান্ড এবং কোয়ালিটির কথাও ভাবা
উচিৎ।
…
♥স্মার্টই যে সব সময় ভালো তা কিন্তু নয়:
↓
অনেক পেনড্রাইভ দেখবেন খুব আকর্ষনিয়
করে তৈরি করা হয়েছে। এমনও
পেনড্রাইভ পাওয়া যায় যেগুলো অনেক
পাতলা এবং ছোট আকারের বানানো হয়।
আপনি যদি ভাবেন পাতলা-ছোট এককথায়
স্মার্ট পেনড্রাইভগুলোই হয়তো ভালো
হবে তবে আপনি ভুল। অনেক ক্ষেত্রেই
এমনটা হয় না। এছাড়াও পাতলা
পেনড্রাইভগুলো কিছুদিন ব্যবহারের পর
কম্পিউটারের ইউএসবি পোর্টের সাথে
যুক্ত করলে কিছুটা ঢিলে হয়ে যায়।
আবার অনেক সময় দেখা যায় ছোট
আকারের পেনড্রাইভগুলো আমরা
যেখানে সেখানে রেখে চলে আসি।
তাই আমার মতে পেনড্রাইভ কেনার সময়
স্মার্টনেস বা লুকের নজর না দিয়ে এর
কার্যকরিতার উপর নজর দিন। কাজে আসবে।
…
♥পেনড্রাইভের লাইফস্প্যান কিন্তু খুবই
সীমিত হয়:
↓
যদি গড় করা যায় তবে একটি পেনড্রাইভের
প্রায় ৩ থেকে ৫ হাজার পর্যন্ত রাইট
সাইকেল থাকে, এরপর যে কোন সময়েই
আপনার পেনড্রাইভটিতে সমস্যা দেখা
দিতে পারে। তবে এমন অনেক
পেনড্রাইভও আছে যেগুলো ৩ হাজারেরও
কমসংখ্যক বার রাইট করার পরেই নষ্ট হয়ে
যায় আবার কিছু কিছু লাখ রাইট স্কেলও
ছাড়িয়ে যায়। তবে আপনি যদি স্বাভাবিক
গড়ই ধরেন তবুও বা কম কিসের!
খাতা কলমের হিসেবে স্বাভাবিক লাইফ
স্প্যানেও আপনি যদি টানা প্রতিদিন
দিনে দুইবার করে একটি পেনড্রাইভ রাইট
করেন তবে তা ৪বছরেরও বেশি সময় ধরে
কাজ করবে। ভালো লাইফ স্প্যান মূলত
কোন ব্র্যান্ডের উপর নির্ভর করেনা তবে
আমার মতে আপনি যদি কিছুটা বেশি খরচ
করে ভালো কম্পোনেন্টের একটি
পেনড্রাইভ কেনেন তবে পেনড্রাইভটির
লাইফ স্প্যান বেশিও পেতে পারেন।
…
♥শক্ত এবং সিকিউর ড্রাইভ কিনতে পারেন:
↓
এমন অনেক পেন ড্রাইভ প্রযুক্তি বাজারে
পাওয়া যায় যা বেশ শক্ত যার ফলে কিছুটা
চাপে বা পানিতে পড়ে গেলেও সমস্যা
হয়না। এছাড়াও এমন কিছু পেনড্রাইভ
রয়েছে যেগুলো তথ্যচুরি যেন না হয়ে
যায় এর বিরুদ্ধে প্রোটেকশন অফার করে
থাকে। তবে আপনি যদি আপনার ডাটা
নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হয়ে থাকেন
তবে আমার পরামর্শ থাকবে ডাটা আদান
প্রদানের আগেই এনক্রিপট করে নিতে,
তাহলে ডাটাগুলো থাকবে সুরক্ষিত।
…
♥কম্পিউটারের পোর্ট মিলিয়ে পেনড্রাইভ
কিনুন:
↓
আপনি বাজারে পেনড্রাইভ কিনতে
গিয়ে ইউএসবি ৩.০'র একটি পেনড্রাইভ
কিনে নিয়ে এলেন। কিন্তু আপনার
কম্পিউটারের পোর্টগুলো সবই হচ্ছে
ইউএসবি ২.০। তাহলে কিন্তু আপনি ইউএসবি
৩.০ এর ট্র্যান্সফার রেটটি পাবেন না,
ইউএসবি ২.০'র স্পিডটিই পাবেন। জেনে
অবাক হবেন যে ইউএসবি ৩.০ প্রযুক্তিটি
প্রায় আপ-টু ১০০ মেগাবাইট পার সেকেন্ড
রেটে ডাটা ট্রান্সফার করতে সক্ষম হলেও
ইউএসবি ২.০ এর ক্ষেত্রে এর পরিমাণ মাত্র
১৫ মেগাবাইটের মত। তাই, পেনড্রাইভ
কেনার সময় আপনার কম্পিউটারের পোর্ট
মিলিয়ে কিনবেন। কেননা ৩.০ পোর্টের
পেনড্রাইভগুলোর দাম কিছুটা বেশি। তবে
আপনার যদি সেই কিছুটা বেশিতে সমস্যা
না থাকে তবে আমি বলব ইউএসব ৩.০
পোর্টের পেনড্রাইভই কিনতে কেননা
পরবর্তিতে আপনি আপনার কম্পিউটারটি
আপগ্রেড করলে অন্তত তখনতো সুবিধাটি
পাবেন।
0 comments:
Post a Comment