.
টিনের চাল।দু'একটা ফুঁটো থাকলেও সমস্যা নেই।বর্ষার জল পরবে না হয় কয়েক ফোঁটা।বর্ষার দিনে বৃষ্টির শব্দে সারারাত ঘুম হবেনা।ভোরে বাড়ির সামনে গিয়ে দেখব উঠোনে পানি জমে গেছে।আশেপাশে কয়েক টা ব্যাঙ ফিসফাস করতে থাকবে।
.
বাড়ির পেছনে থাকবে দিগন্ত বিস্তৃত সবুজের সমারোহ।জানালা খুলে তাকালেই সবুজ আর সবুজ।মনে হবে এই সবুজের শুরু আছে শেষ নেই।সবুজের সমুদ্র যেন।
.
বাড়ির সামনের দিকের রাস্তার দুপাশে থাকবে অনেক গাছ।গাছের ছায়ায় ঢেকে থাকবে আমাদের বাড়ির চতুর্দিক।আরো একটু সামনে থাকবে ছোট,কিন্তু গভীর পুকুর।পুকুর পাড়ের একধারে বাঁশ-বাগান।তারও একপাশে মাচা তৈরি থাকবে।মাচার পাশেই তাল-পাতার পাটি বিছানো থাকবে।তুমি চাইলে আমার সাথে মাচায় বসবে,অথবা পাটিতে।জ্যোছনা-রাতে হাতে হাত রেখে একসাথে বসে থাকব।
.
প্রচণ্ড রোদে এখানে বসে ঠাণ্ডা বাতাসে সময় পার করব;এখানে বর্ষা-জলে একসাথে ভিজব,তীব্র শীতে রোদ পোহাব...বসন্তের দখিনা বাতাসে তোমার চুল,আর শাড়ির আঁচল উড়বে।আমি অপলোক চেয়ে রইব।
.....
.....
বাসর রাতে নতুন বউয়ের পাশে বসে নিজের কাব্যিক মনের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে নাফিস।এদিকে তাসনিয়া যে বিরক্ত হচ্ছে তা সে ঘূণাক্ষরেও টের পাচ্ছে না।তার ধারণা তাসনিয়া মুগ্ধ হয়ে তার স্বপ্ন-বিলাসী মনের প্রলাপ শুনে বিস্মিত হয়ে তার সাথে আলাপ করছে।
.
--আপনার মনে এত স্বপ্ন?আপনি তো পুরাই কবি মানুষ!
তাসনিয়ার আনন্দে চিকচিক করতে থাকা
চোখের দিকে কল্পনায় তাকিয়ে শিহরিত হয় নাফিস।
--হ্যা গো।আমি একজন স্বপ্ন বিলাসী মানুষ।
--আমি তো আপনার কল্পনার রাজ্যেই হারিয়ে গিয়েছিলাম।
--যাবেই তো।কি সুন্দর করেই বর্ণনা দিলাম।
--হুম!.....
............
............
--ঘুমাবেন না?
.
কল্পণা ভেস্তে গেল নাফিসের।
.
--কি বললা?
--ঘুমাবেন না?
একটু লজ্জা পেল নাফিস।কি ভাবছিল।আর.....
--ঘুমাব তো বটেই।আমার কথা এতক্ষণ শোনো নি?
--শুনেছি তো।
--ভাল লাগেনি?
--হুম লেগেছে।এত ভাল লেগেছে যে ভাল লাগার চোটে খুব ঘুম পাচ্ছে!!
একটু মন খারাপ হয় নাফিসের।তাসনিয়া যে ওর কথা গুরুত্বের সাথে নেয় নি তা স্পষ্ট বুঝতে পেরেছে সে।
--আচ্ছা ঘুমাও।
--আপনি ঘুমাবেন না?
--না।
--কেন ঐ ভাংগা ফুঁটো-ওয়ালা টিনের ঘরে যাবেন?হি..হি...হি...
আরে আজিব।এই নতুন বধু দেখা যাচ্ছে খুব দুষ্ট একটা মেয়ে।নতুন বরের কল্পণা নিয়ে মজা করছে।
--তুমি ঠাট্টা করছ?
--আরে না।শোনেন...টিনের চালের ফুঁটোগুলো সারানোর ব্যবস্থা করেন।বৃষ্টিতে ভিজলে ঠান্ডা লাগতে পারে।নিউমোনিয়া হয়ে গেলে বিপদ।(হাসি থামানোর চেষ্টা করে তাসনিয়া।)
--হোয়াট?তুমি ঠাট্টা করছ?আমি কি বাচ্চা-শিশু?আমার সাথে মজা নেও?মা কার সাথে বিয়ে দিল?এ কেমন মেয়ে?আম্মু....আম্মু....
--চুপ।গাঁধা।বাসর রাতে চিল্লায়ে মা'রে ডাকে।আহাম্মক।
আপনি বাচ্চা নন তো কি?রাত শেষ হয়ে যাচ্ছে আর উনি বসে বসে স্বপ্ন দেখছেন আবার ম্যাঁ ম্যাঁ করছে!!!
ছাগল...আবুল কোথাকার!!!
.
মিস্টি ঝাড়ি খেয়ে হুশ হয় নাফিসের।আরে স্বপ্ন বলে বলে তো রাত পার হয়ে গেল।একটু লজ্জাও পেল।
.
তাসনিয়ার দিকে হাসিহাসি মুখ করে,ওর হাত ধরে বলল,
--আচ্ছা টিনের ফুঁটোগুলো ঠিক করে নেব।এবার শোন একটা কথা...
.
--সরেন বেয়াকুব।
--তুমি খুব বেয়াদব বউ।তোমারে বশ মানাতে খুব ঝামেলা হবে!
--আপনার মত আবুল আমারে বশ করতে পারবেও না!(খিলখিল করে হেসে ওঠে তাসনিয়া।)
--আম্মু বলেছিল তুমি নাকি খুব লক্ষ্ণী মেয়ে।
--হি..হি....হি
টিনের চাল।দু'একটা ফুঁটো থাকলেও সমস্যা নেই।বর্ষার জল পরবে না হয় কয়েক ফোঁটা।বর্ষার দিনে বৃষ্টির শব্দে সারারাত ঘুম হবেনা।ভোরে বাড়ির সামনে গিয়ে দেখব উঠোনে পানি জমে গেছে।আশেপাশে কয়েক টা ব্যাঙ ফিসফাস করতে থাকবে।
.
বাড়ির পেছনে থাকবে দিগন্ত বিস্তৃত সবুজের সমারোহ।জানালা খুলে তাকালেই সবুজ আর সবুজ।মনে হবে এই সবুজের শুরু আছে শেষ নেই।সবুজের সমুদ্র যেন।
.
বাড়ির সামনের দিকের রাস্তার দুপাশে থাকবে অনেক গাছ।গাছের ছায়ায় ঢেকে থাকবে আমাদের বাড়ির চতুর্দিক।আরো একটু সামনে থাকবে ছোট,কিন্তু গভীর পুকুর।পুকুর পাড়ের একধারে বাঁশ-বাগান।তারও একপাশে মাচা তৈরি থাকবে।মাচার পাশেই তাল-পাতার পাটি বিছানো থাকবে।তুমি চাইলে আমার সাথে মাচায় বসবে,অথবা পাটিতে।জ্যোছনা-রাতে হাতে হাত রেখে একসাথে বসে থাকব।
.
প্রচণ্ড রোদে এখানে বসে ঠাণ্ডা বাতাসে সময় পার করব;এখানে বর্ষা-জলে একসাথে ভিজব,তীব্র শীতে রোদ পোহাব...বসন্তের দখিনা বাতাসে তোমার চুল,আর শাড়ির আঁচল উড়বে।আমি অপলোক চেয়ে রইব।
.....
.....
বাসর রাতে নতুন বউয়ের পাশে বসে নিজের কাব্যিক মনের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে নাফিস।এদিকে তাসনিয়া যে বিরক্ত হচ্ছে তা সে ঘূণাক্ষরেও টের পাচ্ছে না।তার ধারণা তাসনিয়া মুগ্ধ হয়ে তার স্বপ্ন-বিলাসী মনের প্রলাপ শুনে বিস্মিত হয়ে তার সাথে আলাপ করছে।
.
--আপনার মনে এত স্বপ্ন?আপনি তো পুরাই কবি মানুষ!
তাসনিয়ার আনন্দে চিকচিক করতে থাকা
চোখের দিকে কল্পনায় তাকিয়ে শিহরিত হয় নাফিস।
--হ্যা গো।আমি একজন স্বপ্ন বিলাসী মানুষ।
--আমি তো আপনার কল্পনার রাজ্যেই হারিয়ে গিয়েছিলাম।
--যাবেই তো।কি সুন্দর করেই বর্ণনা দিলাম।
--হুম!.....
............
............
--ঘুমাবেন না?
.
কল্পণা ভেস্তে গেল নাফিসের।
.
--কি বললা?
--ঘুমাবেন না?
একটু লজ্জা পেল নাফিস।কি ভাবছিল।আর.....
--ঘুমাব তো বটেই।আমার কথা এতক্ষণ শোনো নি?
--শুনেছি তো।
--ভাল লাগেনি?
--হুম লেগেছে।এত ভাল লেগেছে যে ভাল লাগার চোটে খুব ঘুম পাচ্ছে!!
একটু মন খারাপ হয় নাফিসের।তাসনিয়া যে ওর কথা গুরুত্বের সাথে নেয় নি তা স্পষ্ট বুঝতে পেরেছে সে।
--আচ্ছা ঘুমাও।
--আপনি ঘুমাবেন না?
--না।
--কেন ঐ ভাংগা ফুঁটো-ওয়ালা টিনের ঘরে যাবেন?হি..হি...হি...
আরে আজিব।এই নতুন বধু দেখা যাচ্ছে খুব দুষ্ট একটা মেয়ে।নতুন বরের কল্পণা নিয়ে মজা করছে।
--তুমি ঠাট্টা করছ?
--আরে না।শোনেন...টিনের চালের ফুঁটোগুলো সারানোর ব্যবস্থা করেন।বৃষ্টিতে ভিজলে ঠান্ডা লাগতে পারে।নিউমোনিয়া হয়ে গেলে বিপদ।(হাসি থামানোর চেষ্টা করে তাসনিয়া।)
--হোয়াট?তুমি ঠাট্টা করছ?আমি কি বাচ্চা-শিশু?আমার সাথে মজা নেও?মা কার সাথে বিয়ে দিল?এ কেমন মেয়ে?আম্মু....আম্মু....
--চুপ।গাঁধা।বাসর রাতে চিল্লায়ে মা'রে ডাকে।আহাম্মক।
আপনি বাচ্চা নন তো কি?রাত শেষ হয়ে যাচ্ছে আর উনি বসে বসে স্বপ্ন দেখছেন আবার ম্যাঁ ম্যাঁ করছে!!!
ছাগল...আবুল কোথাকার!!!
.
মিস্টি ঝাড়ি খেয়ে হুশ হয় নাফিসের।আরে স্বপ্ন বলে বলে তো রাত পার হয়ে গেল।একটু লজ্জাও পেল।
.
তাসনিয়ার দিকে হাসিহাসি মুখ করে,ওর হাত ধরে বলল,
--আচ্ছা টিনের ফুঁটোগুলো ঠিক করে নেব।এবার শোন একটা কথা...
.
--সরেন বেয়াকুব।
--তুমি খুব বেয়াদব বউ।তোমারে বশ মানাতে খুব ঝামেলা হবে!
--আপনার মত আবুল আমারে বশ করতে পারবেও না!(খিলখিল করে হেসে ওঠে তাসনিয়া।)
--আম্মু বলেছিল তুমি নাকি খুব লক্ষ্ণী মেয়ে।
--হি..হি....হি
(হাসি থামিয়ে কপট রেগে)
--কি?আমি অলক্ষ্ণী মেয়ে??তুই আবুল,মফিস,বেকুব...যা ভাগ...এই ধরবি না...এই খবরদার.....আম্মুরে ডাক দিব কিন্তু...এই....এই....
--কি?আমি অলক্ষ্ণী মেয়ে??তুই আবুল,মফিস,বেকুব...যা ভাগ...এই ধরবি না...এই খবরদার.....আম্মুরে ডাক দিব কিন্তু...এই....এই....
.
.
রাত পার হয়।নতুন এক সম্পর্কের সূচনা হয়।যে জীবনে নব-দম্পতির প্রেম-প্রণয়-অভিমান আর ভালবাসা মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে।এগিয়ে আসবে স্বপ্ন।টিনের চালে বৃষ্টির টুপটাপ পাগলকরা শব্দ।জ্যোছনা-রাতে একসাথে হাতে হাত রেখে বসে থাকা,বৃষ্টির জলে একসাথে ভেজা,তীব্র শীতে উষ্ণতা দেয়া,বসন্তের উন্মাদ সমীর একসাথে অনুভব করা।স্বপ্ন-পূরণ হবেই।
.
.
রাত পার হয়।নতুন এক সম্পর্কের সূচনা হয়।যে জীবনে নব-দম্পতির প্রেম-প্রণয়-অভিমান আর ভালবাসা মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে।এগিয়ে আসবে স্বপ্ন।টিনের চালে বৃষ্টির টুপটাপ পাগলকরা শব্দ।জ্যোছনা-রাতে একসাথে হাতে হাত রেখে বসে থাকা,বৃষ্টির জলে একসাথে ভেজা,তীব্র শীতে উষ্ণতা দেয়া,বসন্তের উন্মাদ সমীর একসাথে অনুভব করা।স্বপ্ন-পূরণ হবেই।
.
0 comments:
Post a Comment