বকুল আমার লেখা প্রথম গল্প । আশা করি গল্পটা সবার ভাল লাগবে ।
ধন্যবাদ ।
বকুল
Shahoreyar Mostofa
শ্রেয়া রোজ স্কুলে যাওয়ার সময় দেখে প্রায় তার সম-বয়সী একটা
মেয়ে স্কুল গেটের একটু দূরেই কয়েকটা ফুলের মালা হাতে নিয়ে দাড়িয়ে
আছে ।শ্রেয়া প্রতিদিন মেয়েটাকে দেখলেও সে ভাবে খেয়াল করেনি ।
কিন্তু আজ খেয়াল না করে পারল না । আজ সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে তাও মেয়েটা সেখানেই দাড়িয়ে আছে আর প্রতিদিনের মতই হাতে
কিছু ফুলের মালা । আশে পাশে কোথাও কোন মানুষ জন নেই । শ্রেয়া
রিক্সা ভাড়া দিয়ে ছাতাটা মেলিয়ে আস্তে আস্তে মেয়েটার দিকে এগিয়ে
যায় ।
মেয়েটাকে জিজ্ঞাস করে তুমি এখানে এভাবে দাড়িয়ে আছো কেন ??
মাথায় বৃষ্টি পরছে তোমার তো অসুখ করবে ?? আপা আমাগোরো মাথায় একটু খানি বৃষ্টি পড়লে আমাদের অসুখ করে
না । মেয়েটির কথা শুনে আবাক হয়ে গেল শ্রেয়া । একটু পর শ্রেয়া বলল
তুমি লেখা পড়া বাদ দিয়ে ফুল বিক্রি করছ কেন ….?
ক্লাস ফোর পাশ করে ফাইবে উঠচি । অতো লেখা পড়া কইরা কি
করমু । গরিবদের অতো লেখা পড়া করার দরকার হয় না । তয় আমার
পড়বার ইচ্ছা হয় কিন্তু অতো টেকা পয়সা কই পামু ? মায়ের অসুখ বাবায় ছোট কালে ছাইরা চলে গেছে । ফুল না বেচলে খামু কি ?
তিথি ঘড়ি দেখল সাড়ে ৯ টা বাজে । বৃষ্টি ও থেমে গেছে । শ্রেয়া বলল
আচ্ছা তুমি রোজ ফুল বিক্রি করে কত টাকা পাও?
মালা প্রতি কেউ দেয় ৫টাকা আবার কেউ ১০ টেকা কেউ কেউ ২০
টেকাও দেয় । মোট হিসেব করলে ৫০-৬০ টাকা হয় । মায়ের ওষধ কিনে
যা বাচে তা দিয়ে চাল ডাল কিনে বাড়ি যাই । তারপর রান্না করে নিজে খাই, মায়েরে খাওয়াই ।
শ্রেয়া ১০ টাকা দিয়ে বলল তোমার মায়ের জন্য ওষধ কিনে নিও ।
মেয়েটি বলল আমি ভিক্ষা নেই না । আপনে যদি একটা ফুল নেন তাহলে
আমি টেকা নিবার পারি । শ্রেয়া বাধ্য হয়ে ফুলটা নিল এবং বলল আমার
ক্লাস শুরু হবে এখন । তুমি ১টা পর্য়ন্ত এখানে থাকো ? মেয়েটি বলল
ফুল বেচা শেষ না হলে থাকব । শ্রেয়া স্কুল ছুটির পর বাহিরে গিয়ে দেখল মেয়েটা ওখানেই দাড়িয়ে আছে
। শ্রেয়া কে এদিকে আসতে দেখতেই বলল জানেন আপা আপনে যাওনের
পর এক স্যার এসে আপনার মত সব শুনে ৩টা মালা ৩শ টেকা দিয়ে
কিনে নিল । আমি বললাম স্যার এই তিনটা মালার দাম এত নয় । স্যারটা
কি কয় জানেন আপা ? স্যার কয় ফুলের কোন মূল্য হয় না । ফুল
অমুল্য জিনিষ । এই বলেই সাহেবটা গাড়ি নিয়ে চলে গেল । তাই ভাবলাম এখানে দাড়িয়ে থাইকা আর কি কাম তার থেকে ডাক্তারের
কাছে থাইকা ঔষধ নিয়া বাড়ি গিয়া রান্না করি । শ্রেয়া অবাক হয়ে বলল
তাহলে তুমি কি বাড়ি থেকে রান্না করে আবার এসেছ ??
হ, মায়ে অনেক দিন হইল গোসত খাইবার চাইছিল টেকার জন্য
খাওয়াইতে পারি নাই ।আজ যখন এত টাকা পাইলাম তখন মায়েরে এক
সের গোসত কিনে খাওয়াইয়া আইলাম । শ্রেয়া বলল তুমি আবার এসেছ ভাল করেছ, তুমি যদি লেখা পড়া করতে
চাও তাহলে আমি ব্যবস্থা করতে পারি ।
মেয়েটি বলল আগে মায়ের অসুখ ভাল হউক । একথা সেকথা বলতে বলতে
মেয়েটা শ্রেয়ার সাথে তার বাড়ি পর্যন্ত চলে এলো । শ্রেয়া তার মায়ের
সাথে মেয়েটার কথা বলাল মেয়েটার সব কথা বিস্তারিত বলল । শ্রেয়ার
মা রাবেয়া বেগম শ্রেয়ার কথা শুনে খুব খুশি হলেন । রাবেয়া বেগম বলল তোমরা হাত মুখ ধুয়ে এসো খাবে । শ্রেয়া মাথা নেড়ে বলল আচ্ছা । শ্রেয়া বলর সেই কখন থেকে তোমার সাথে বকবক বকবক করে চলছি
তোমার নামটাই তো জানা হল না তোমার নাম কি ?
তেয়েটি বলল আমার নাম বকুল ।
বাহ, খুব সুন্দর নামতো । চলো আগে খেয়ে নিই তারপর গল্প করা
যাবে । বকুল প্রথমে খেতেই চায় নি কারন সেতো খেয়েই এসেছে ।
শ্রেয়ার জেদে তাকে খেতেই হল । খাওয়ার পর পরই শ্রেয়া আবার তার সাথে গল্প শুরু করল । রাবেয়া বেগম তাকে নতুন একটা জামা পড়তে
দিলেন । কখন যে ঘড়ির কাটা ঘুড়তে ঘুড়তে ৫টা বেজে গেছে ওরা কেউ
খেয়ালই করেনি । বকুল বলল এখন তাহলে আমি যাই ।
দারাও তোমার সাথে আমরাও যাবো তোমার মাকে দেখতে যাব বলল
রাবেয়া বেগম । শ্রেয়া, শ্রেয়ার রাবেয়া বেগম, শ্রেয়ার ছোট ভাই তপু ও বকুল সবাই
মিলে রিক্সা নিয়ে বকুলদের বস্তিতে গেলেন । রাবেয়া বেগম বকুলের
মাকে দেখে আসার সময় তার হাতে ৫০০ টাকা দিলেন । এমনি করে বেশ
কিছুদিন কেটে গেল শ্রেয়া ও বকুলের বন্ধুত্ব হয়ে গেল বকুলের মা সুস্থ
হলে বকুলকে শ্রেয়ার সাথে স্কুলে ভর্তি করে দিলেন ।
বকুল একদিন স্কুল তেকে এসে দেখে তার মাকে ঘিরে বস্তির কয়েক জন মহিলা দাড়িয়ে আছে । তারা বলল বকুলের মাকে হাসপাতালে নিয়ে
যেতে । শ্রেয়াকে খবর দেয়া হল সে ও তার মা হাসপাতালে ছুটে আসল
কিন্তু তার আগেই বকুলের মা বকুলকে ছেড়ে অনেক দূরে চলে গেছে ।
বকুল তার মাকে হারিয়ে পাগলের মত হয়ে গেল । রাবেয়া বেগম বকুলকে
তাদের বাড়িতে নিয়ে আসলেন । বকুলকে তারা নিজের মেয়েও মত আদর
করতে লাগল । কয়েক দিন পরেই শ্রেয়ার জন্মদিন ছিল । তারা জন্ম দিনের ছোট
একটা আয়োজন করেছে । সবাই কাজে ব্যাস্ত আর কিছুক্ষন পরেই
কেক কাটবে শ্রেয়া । কিন্ত তপুকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না । হটাৎ
বকুলের চোখ গেল রাস্তার দিকে তপুর লাল বলটা রাস্তা মাঝখানে তপু
সেটা নিতে রাস্তা মাঝে গিয়েছে কোন কিছু চিন্তা না করে বকুল
রাস্তার দিকে দৌড় দিল । এক ধাক্কায় তপুকে রাস্তার অপর পাশে ফেলে দিল । আর নিজের প্রানটা দিয়ে দিলে একটা ট্রাক এসে বকুলকে
পিষে রেখে গেল । সবাই বুজতে পারল বকুর মারা গেছে শ্রেয়া পাগলের
মত অর্তনাদ করতে লাগল । পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেল বকুল ।
বকুল কে বকুল গাছের নিচেই সামধীস্থ করা হল । আজো পুরো
পরিবার বকুলের জন্য দোয়া করে আর শ্রেয়া প্রতি মহূর্ত ভাবে মানুষ
এভাবে মরে যায় কেন ??? আজো সে এই প্রশ্নের উত্তর খোজায় ব্যাস্ত
মানুষ এভাবে মরে যায় কেন ??? কেন ? কেন ? কেন ?????
মেয়ে স্কুল গেটের একটু দূরেই কয়েকটা ফুলের মালা হাতে নিয়ে দাড়িয়ে
আছে ।শ্রেয়া প্রতিদিন মেয়েটাকে দেখলেও সে ভাবে খেয়াল করেনি ।
কিন্তু আজ খেয়াল না করে পারল না । আজ সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে তাও মেয়েটা সেখানেই দাড়িয়ে আছে আর প্রতিদিনের মতই হাতে
কিছু ফুলের মালা । আশে পাশে কোথাও কোন মানুষ জন নেই । শ্রেয়া
রিক্সা ভাড়া দিয়ে ছাতাটা মেলিয়ে আস্তে আস্তে মেয়েটার দিকে এগিয়ে
যায় ।
মেয়েটাকে জিজ্ঞাস করে তুমি এখানে এভাবে দাড়িয়ে আছো কেন ??
মাথায় বৃষ্টি পরছে তোমার তো অসুখ করবে ?? আপা আমাগোরো মাথায় একটু খানি বৃষ্টি পড়লে আমাদের অসুখ করে
না । মেয়েটির কথা শুনে আবাক হয়ে গেল শ্রেয়া । একটু পর শ্রেয়া বলল
তুমি লেখা পড়া বাদ দিয়ে ফুল বিক্রি করছ কেন ….?
ক্লাস ফোর পাশ করে ফাইবে উঠচি । অতো লেখা পড়া কইরা কি
করমু । গরিবদের অতো লেখা পড়া করার দরকার হয় না । তয় আমার
পড়বার ইচ্ছা হয় কিন্তু অতো টেকা পয়সা কই পামু ? মায়ের অসুখ বাবায় ছোট কালে ছাইরা চলে গেছে । ফুল না বেচলে খামু কি ?
তিথি ঘড়ি দেখল সাড়ে ৯ টা বাজে । বৃষ্টি ও থেমে গেছে । শ্রেয়া বলল
আচ্ছা তুমি রোজ ফুল বিক্রি করে কত টাকা পাও?
মালা প্রতি কেউ দেয় ৫টাকা আবার কেউ ১০ টেকা কেউ কেউ ২০
টেকাও দেয় । মোট হিসেব করলে ৫০-৬০ টাকা হয় । মায়ের ওষধ কিনে
যা বাচে তা দিয়ে চাল ডাল কিনে বাড়ি যাই । তারপর রান্না করে নিজে খাই, মায়েরে খাওয়াই ।
শ্রেয়া ১০ টাকা দিয়ে বলল তোমার মায়ের জন্য ওষধ কিনে নিও ।
মেয়েটি বলল আমি ভিক্ষা নেই না । আপনে যদি একটা ফুল নেন তাহলে
আমি টেকা নিবার পারি । শ্রেয়া বাধ্য হয়ে ফুলটা নিল এবং বলল আমার
ক্লাস শুরু হবে এখন । তুমি ১টা পর্য়ন্ত এখানে থাকো ? মেয়েটি বলল
ফুল বেচা শেষ না হলে থাকব । শ্রেয়া স্কুল ছুটির পর বাহিরে গিয়ে দেখল মেয়েটা ওখানেই দাড়িয়ে আছে
। শ্রেয়া কে এদিকে আসতে দেখতেই বলল জানেন আপা আপনে যাওনের
পর এক স্যার এসে আপনার মত সব শুনে ৩টা মালা ৩শ টেকা দিয়ে
কিনে নিল । আমি বললাম স্যার এই তিনটা মালার দাম এত নয় । স্যারটা
কি কয় জানেন আপা ? স্যার কয় ফুলের কোন মূল্য হয় না । ফুল
অমুল্য জিনিষ । এই বলেই সাহেবটা গাড়ি নিয়ে চলে গেল । তাই ভাবলাম এখানে দাড়িয়ে থাইকা আর কি কাম তার থেকে ডাক্তারের
কাছে থাইকা ঔষধ নিয়া বাড়ি গিয়া রান্না করি । শ্রেয়া অবাক হয়ে বলল
তাহলে তুমি কি বাড়ি থেকে রান্না করে আবার এসেছ ??
হ, মায়ে অনেক দিন হইল গোসত খাইবার চাইছিল টেকার জন্য
খাওয়াইতে পারি নাই ।আজ যখন এত টাকা পাইলাম তখন মায়েরে এক
সের গোসত কিনে খাওয়াইয়া আইলাম । শ্রেয়া বলল তুমি আবার এসেছ ভাল করেছ, তুমি যদি লেখা পড়া করতে
চাও তাহলে আমি ব্যবস্থা করতে পারি ।
মেয়েটি বলল আগে মায়ের অসুখ ভাল হউক । একথা সেকথা বলতে বলতে
মেয়েটা শ্রেয়ার সাথে তার বাড়ি পর্যন্ত চলে এলো । শ্রেয়া তার মায়ের
সাথে মেয়েটার কথা বলাল মেয়েটার সব কথা বিস্তারিত বলল । শ্রেয়ার
মা রাবেয়া বেগম শ্রেয়ার কথা শুনে খুব খুশি হলেন । রাবেয়া বেগম বলল তোমরা হাত মুখ ধুয়ে এসো খাবে । শ্রেয়া মাথা নেড়ে বলল আচ্ছা । শ্রেয়া বলর সেই কখন থেকে তোমার সাথে বকবক বকবক করে চলছি
তোমার নামটাই তো জানা হল না তোমার নাম কি ?
তেয়েটি বলল আমার নাম বকুল ।
বাহ, খুব সুন্দর নামতো । চলো আগে খেয়ে নিই তারপর গল্প করা
যাবে । বকুল প্রথমে খেতেই চায় নি কারন সেতো খেয়েই এসেছে ।
শ্রেয়ার জেদে তাকে খেতেই হল । খাওয়ার পর পরই শ্রেয়া আবার তার সাথে গল্প শুরু করল । রাবেয়া বেগম তাকে নতুন একটা জামা পড়তে
দিলেন । কখন যে ঘড়ির কাটা ঘুড়তে ঘুড়তে ৫টা বেজে গেছে ওরা কেউ
খেয়ালই করেনি । বকুল বলল এখন তাহলে আমি যাই ।
দারাও তোমার সাথে আমরাও যাবো তোমার মাকে দেখতে যাব বলল
রাবেয়া বেগম । শ্রেয়া, শ্রেয়ার রাবেয়া বেগম, শ্রেয়ার ছোট ভাই তপু ও বকুল সবাই
মিলে রিক্সা নিয়ে বকুলদের বস্তিতে গেলেন । রাবেয়া বেগম বকুলের
মাকে দেখে আসার সময় তার হাতে ৫০০ টাকা দিলেন । এমনি করে বেশ
কিছুদিন কেটে গেল শ্রেয়া ও বকুলের বন্ধুত্ব হয়ে গেল বকুলের মা সুস্থ
হলে বকুলকে শ্রেয়ার সাথে স্কুলে ভর্তি করে দিলেন ।
বকুল একদিন স্কুল তেকে এসে দেখে তার মাকে ঘিরে বস্তির কয়েক জন মহিলা দাড়িয়ে আছে । তারা বলল বকুলের মাকে হাসপাতালে নিয়ে
যেতে । শ্রেয়াকে খবর দেয়া হল সে ও তার মা হাসপাতালে ছুটে আসল
কিন্তু তার আগেই বকুলের মা বকুলকে ছেড়ে অনেক দূরে চলে গেছে ।
বকুল তার মাকে হারিয়ে পাগলের মত হয়ে গেল । রাবেয়া বেগম বকুলকে
তাদের বাড়িতে নিয়ে আসলেন । বকুলকে তারা নিজের মেয়েও মত আদর
করতে লাগল । কয়েক দিন পরেই শ্রেয়ার জন্মদিন ছিল । তারা জন্ম দিনের ছোট
একটা আয়োজন করেছে । সবাই কাজে ব্যাস্ত আর কিছুক্ষন পরেই
কেক কাটবে শ্রেয়া । কিন্ত তপুকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না । হটাৎ
বকুলের চোখ গেল রাস্তার দিকে তপুর লাল বলটা রাস্তা মাঝখানে তপু
সেটা নিতে রাস্তা মাঝে গিয়েছে কোন কিছু চিন্তা না করে বকুল
রাস্তার দিকে দৌড় দিল । এক ধাক্কায় তপুকে রাস্তার অপর পাশে ফেলে দিল । আর নিজের প্রানটা দিয়ে দিলে একটা ট্রাক এসে বকুলকে
পিষে রেখে গেল । সবাই বুজতে পারল বকুর মারা গেছে শ্রেয়া পাগলের
মত অর্তনাদ করতে লাগল । পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেল বকুল ।
বকুল কে বকুল গাছের নিচেই সামধীস্থ করা হল । আজো পুরো
পরিবার বকুলের জন্য দোয়া করে আর শ্রেয়া প্রতি মহূর্ত ভাবে মানুষ
এভাবে মরে যায় কেন ??? আজো সে এই প্রশ্নের উত্তর খোজায় ব্যাস্ত
মানুষ এভাবে মরে যায় কেন ??? কেন ? কেন ? কেন ?????
মজা পাইলাম
ReplyDelete