শুধু কথা বলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় স্মার্টফোন। তাই স্মার্টফোন দিয়ে কথা বলা ছাড়াও সবসময়ই কিছু না-কিছু করা হয়ে থাকে। যেমন চ্যাট, ভিডিও কলিং কিংবা মেইল চেক প্রভৃতি। ফলে ফোনের ব্যাটারিও তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। তবে ফোনের ব্যাটারি লাইফ বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু ব্যবহারসাশ্রয়ী উপায় গ্রহণ করতে পারেন।
ফোনের যে সব ফিচার বন্ধ রাখতে হবে
ব্লুটুথ, ওয়াই-ফাই : প্রয়োজন থাকলেই ওয়াই-ফাই অন করবেন। রেঞ্জের বাইরে গিয়েও ওয়াই-ফাই অন থাকলে, ফোন ওয়াই-ফাইর জন্য সিগন্যাল খুঁজতে থাকে, ফলে ব্যাটারি খরচ হয়।
অ্যানিমেশন : সব অ্যাপ্লিকেশনের অ্যানিমেশন অফ করে দিন।
মোবাইল ডাটা : ব্যাটারিতে কম চার্জ থাকায় মোবাইল বন্ধ হতে পারে এমন পরিস্থিতির ক্ষেত্রে মোবাইল ডাটা বন্ধ করে দিন। এতে সেসময় ইন্টারনেট কাজ না করলেও অন্তত ফোন আরো কিছুক্ষণ চালু থাকবে।
লোকেশন সার্ভিস : প্রয়োজনের সময়েই লোকেশন সার্ভিস অন করুন, অন্যথায় অফ রাখুন। কারণ এটি অন থাকলে, ব্যাটারি খরচও হবে বেশি।
ফোনের যা কিছু কমিয়ে দিতে হবে
স্ক্রিনের ব্রাইটনেস : স্ক্রিনের জন্য মোবাইলের চার্জ দ্রুত শেষ হয়। স্ক্রিন যত বেশি উজ্জ্বল এবং হাই-রেজ্যুলেশনের হবে, ব্যাটারি ততই খরচ হবে। এজন্য স্ক্রিন ব্রাইটনেস কমিয়ে ব্যবহার করুন। ব্রাইটনেসের জন্য অটো-মোড নির্বাচন না করলেও পারেন। কেননা এ মোড মোবাইলের সেন্সরগুলো সব সময় চালু রাখে এবং এতে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়।
স্ক্রিন টাইমআউট : ফোনের স্ক্রিন টাইম আউট যত কম হবে, ব্যাটারি তত লম্বা সময় ধরে চলবে। তাই স্ক্রিনের টাইমআউট কমিয়ে দিতে পারেন।
ক্যামেরা এবং ভিডিওর ব্যবহার : ফোনের ব্যাটারি কম থাকলে ভেবেচিন্তে ক্যামেরা এবং ভিডিওর ব্যবহার করুন। ফোন বেশি গরম হলে বুঝবেন, ব্যাটারি দ্রুত খরচ হচ্ছে এবং তার বিশ্রাম প্রয়োজন।
যেসব ফিচার থেকে দূরত্বে থাকতে হবে
ভাইব্রেশন : ভাইব্রেশনে বেশি ব্যাটারি খরচ হয়। তাই একে নিস্ক্রিয় রাখুন।
লাইভ ওয়ালপেপার : লাইভ ওয়ালপেপারের পরিবর্তে ডার্ক কালারের ওয়ালপেপার ব্যবহার করা ভালো।
উইজেটস : সামান্যর তুলনায় বড় আইকনগুলোই উইজেটস। এটি স্ক্রিনে অনেক জায়গা নেয়। যেমন- আবহাওয়ার বা ফেসবুক বা টুইটারের উইজেটস। এগুলো নিজে থেকেই আপডেট হয়, তাই বেশি ব্যাটারি খরচ হয়। ফোনের হোম স্ক্রিনে বেশি অ্যাপ রাখার পরিবর্তে, কম ব্যবহার করেন এমন অ্যাপ মেন্যুর ভেতরে রাখুন।
একাধিক অ্যান্টিভাইরাস : ফোনে একাধিক অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করবেন না। অনেকে মনে করেন, একাধিক অ্যান্টিভাইরাস ফোনকে বেশি সুস্থ রাখবে। কিন্তু এর ফলে ব্যাটারিও বেশি খরচ হবে।
নজর রাখতে হবে অ্যাপসে
অব্যবহৃত অ্যাপস আনইনস্টল : যেসব অ্যাপ বেশি ব্যাটারি খরচ করে বা ব্যবহার করছেন না এমন অ্যাপগুলো আনইনস্টল করে দিন।
ঠিক করে অ্যাপ বন্ধ করুন : হোম বোতাম টিপলেই অ্যাপ বন্ধ হয় না। তা শুধুই ব্যাকগ্রাউন্ডে চলে যায় এবং ব্যাটারি খরচ করে। তাই এক্সিট-এর মাধ্যমে অ্যাপ বন্ধ করা অত্যাবশ্যকীয়।
অটো আপডেট : অ্যান্ড্রয়েডের অনেক অ্যাপ প্রায়ই আপডেট নিতে থাকে। এর ফলে ডাটা খরচ তো হয়ই পাশাপাশি ব্যাটারিও খরচ হয়। অটো আপডেট বন্ধ রাখাটাও সাশ্রয়ী।
বুকমার্কের ব্যবহার : বেশ কিছু সাইট সর্বদা অ্যাপ ব্যবহার করে খোলার পরিবর্তে বা অ্যাপ ডাউনলোড না করে ব্রাউজারে বুকমার্ক করে করুন। এতে মোবাইলের ব্যাটারি সাশ্রয় হবে।
0 comments:
Post a Comment