কোনো লেখাই পুরোপুরি শেষ করতে পারছি না অফিসে প্রচুর প্রেসার কিন্তু ওয়ার্ক আওয়ার কম। তাই সবকিছু সময় মত অর্থাৎ কম সময়ে শেষ করতে হবে। তারপরেই বাসায় ভো দৌড়। কিন্তু মহাখালীতে বিকালের অসহ্য রকমের বিশাল জ্যাম খুব অস্বস্তিতে ফেলে দেয়।তাই ভাবলাম একটা ব্যাপার নিয়ে লিখি যেটা যুবক শ্রেনীর জন্য তেমন কাজের না হলেও একটু বয়স্ক বা পুরোপুরি বয়স্ক মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন। আধুনিক সমাজ ব্যাবস্হায় সুষম খাদ্যাভ্যাস আর জীবন ধারায় ব্যায়াম জিনিসটা হারিয়ে যাচ্ছে দ্রুত আর জায়গা করে নিচ্ছে কর্মক্ষেত্রের বিস্তর প্রেসার, পারিবারিক টেনশন সাথে আবার মূল্যাস্ফিতীর ভয়াবহ অর্থনীতি।
এত টেনশন নিয়ে নিয়ে দেখা গেলো আপনি মহাখালীর জ্যামে বসে আছেন ঘন্টার পর ঘন্টা।এ সময় হঠাৎ বুকের মাঝে একটা ব্যাথা অনুভব করলেন যেটা হাত দিয়ে নীচের দিকে বিকিরনের মতো ছড়িয়ে পড়ছে আর মুখের চোয়ালের নীচ দিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে উপরের দিকে। ব্যাথাটা কিন্তু আপনার চেনা জানা কারন এই বয়সে এই ব্যাথা সম্পর্কে আপনি আগেই অবগত, সমস্যা হলো আশেপাশে দ্রুত পৌছাবার মতো কোনো হাসপাতাল নেই। ধরা যাক আপনার সিপিআর ট্রেনিং নেয়া আছে কিন্তু যিনি এই ট্রেনিংটা দিয়েছেন আপনাকে সে শিখাননি এটা কিভাবে নিজে নিজে করতে হয়।
এটা দেখা গেছে যে বেশীর ভাগ হার্ট এ্যাটাকের সময় রোগীর আশে পাশে কেউ থাকে না আর অজ্ঞান হবার আগে বড় জোড় ১০ সেকেন্ড সময় পাওয়া যায়। এখন কি করা যায়?
নীচের পন্থাটা অনুসরন করুন:
তাড়াহুড়ো না করে স্হির হয়ে বসে ভালোভাবে কাশার চেস্টা করুন। কাশটা এমন কাশতে হবে যে এটা যখন বুকের ভিতর থেকে আসবে তখন যেন মুখের গভীরের মিউকাস গ্লান্ড আর স্যালিভারী গ্লান্ড থেকে কফ বা তরল নিঃসরিত হবার মতো করে হয়। প্রতিটা কাশের মাঝে একটা গভীর শ্বাস নিতে হবে এবং আস্তে করে ছাড়তে হবে। কাশিটা একটু শক্তি দিয়ে কাশতে হবে। ২ সেকেন্ড পর পর কাশি আর দীর্ঘশ্বাস নেয়ার প্রক্রিয়াটা চালু রাখতে হবে এবং ততক্ষন পর্যন্ত চালু রাখতে হবে যতক্ষন না কোনো সাহায্য হাতের কাছে পাওয়া যায় অথবা হার্টবিট নর্মাল পর্যায়ে ফিরে না আসে! তবে এরকম ব্যাথা হলে আপনি যাই করুন না কেন আপনাকে আগে হোক পরে হোক, যত দ্রূত সম্ভব ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হবে।
ব্যাখ্যা:
গভীর দীর্ঘশ্বাস শরীরে প্রয়োজন মতো অক্সিজেনের সরবরাহ সমুন্যত রাখে আর শক্তি দিয়ে কাশিটা আপনার হার্টকে ভালোমতো স্কুইজ করে ফেলবে যাতে করে আপনার শরীরে রক্তের প্রবাহ ঠিক থাকে। এই স্কুইজড প্রেসার আপনার হার্টকে সঠিক রিদমে চলতে সাহায্য করবে।আপাতত এটাই ন্যাচারাল পন্হা যার ফলে হঠাৎ হার্ট এ্যাটাক থেকে সমূহ মৃত্যু বা তার চেয়ে কম করে বললে অন্যান্য ক্ষতির সম্ভাবনা হতে মুক্ত পাওয়া যেতে পারে।
তবে একটা কথা বলি হার্ট ঠিক রাখার জন্য যৌবন বয়সে ব্যায়াম (শরীর মজবুত করতে চাইলে জীমের বিকল্প নাই যেটা আপনার হার্ট এ্যাটাকের ঝুকি কমায়) আর প্রৌঢ় বা বৃদ্ধ যারা তাদের জন্য এ্যারোবিকস খুবই কার্যকরী!তবে অনেকে অবশ্য যৌবনেই (20-30 এর মধ্যে) এ্যারোবিক করেন যেটা মেটাবলিক স্ট্রেন্হ বাড়াতে খুব বেশী সাহায্য করে না। তবে মেয়েদের জন্য এ্যারোবিকস খুবই সুন্দর ব্যায়াম সব সময়!
ভালো থাকুন আর পারলে রোজা রাখুন সবাই, যদিও ফরজ, তবুও ক্ষুধা বলে কথা হা হা হা হা!
আর ম্যাটালিকার ডেথ ম্যাগনেটিক শুনতে থাকেন!
আর যত পারেন মানুষকে জানান!
0 comments:
Post a Comment