একটু দেরি করে হলেও, বিষয়টি নিয়ে কথা হতেই পারে। অস্কারজয়ী সংগীত পরিচালক এ আর রাহমান বলে কথা। প্রাসঙ্গিকতার অজুহাত তাঁর কর্ম আর জনপ্রিয়তার সামনে ফিকে পড়ে যায়। তাই তাঁকে নিয়ে তৈরি প্রামাণ্যচিত্র জয় হো যেকোনো সময়ই হতে পারে আলোচনার বিষয়বস্তু কিংবা আড্ডার মধ্যমণি। তবে ইদানীং শুধু জয় হো দিয়ে নয়, এ আর রাহমান আলোচনায় আছেন তাঁর নতুন ছবি তামাশার গান দিয়েও। তাই গত অক্টোবরে প্রচারিত প্রামাণ্যচিত্র জয় হো আর আসছে ছবি তামাশার গানের দিকে একটু নজর দেওয়া যাক।
ডিসকভারি চ্যানেল বেশ লম্বা সময় নিয়ে তৈরি করেছে জয় হো নামের প্রামাণ্যচিত্রটি। এতে এ আর রাহমানের (আল্লাহ রাখা রাহমান) জীবনের এত খুঁটিনাটি বিষয় উঠে এসেছে যে ছবিটির শেষে রাহমান দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলেই ফেললেন, ‘এত বড় ইন্টারভিউতে সব বলার পর নিজেকে বিবস্ত্র মনে হচ্ছে। কিছুই তো আর বাকি রইল না!’
সত্যিই কিছু আর বাকি নেই। নিজের কঠিন শৈশব থেকে শুরু করে, গান নিয়ে তাঁর সংগ্রামের দিনগুলো, সুরের প্রার্থনা করে স্রষ্টার কাছে সমর্পণ করা রাতগুলো আর উপচে পড়া সাফল্যের সময়গুলো—সবই উঠে এসেছে প্রামাণ্যচিত্রে।
জয় হো প্রামাণ্যচিত্র যাঁরা দেখেছেন, তাঁদের অনেকেই বলেছেন, এতটা কাছ থেকে নাকি এর আগে কখনোই আবিষ্কার করা যায়নি রাহমানকে। তাঁর সাফল্যের প্রতিটি ধাপ ধরে ধরে তিনি কথা বলেছেন এতে। ব্যাখ্যা করেছেন তাঁর প্রতিটি কালজয়ী সুর সৃষ্টির পেছনের রহস্যের।
শুধু রাহমান নন, এই প্রামাণ্যচিত্রে রাহমানের কাছের মানুষদের দেখা মিলেছে। তাঁর প্রথম ছবির পরিচালক মণি রত্নম থেকে শুরু করে বলিউডে রাহমানের অভিষেক ঘটানো পরিচালক রাম গোপাল ভর্মা, সুভাষ ঘাই, শেখর কাপুর, ড্যানি বয়েল—সবাই প্রামাণ্যচিত্রে কথা বলেছেন রাহমানকে নিয়ে।
সংগীতশিল্পী অলকা ইয়াগনিক বলেছেন, কেমন করে তাঁরা সহ্য করতেন রাহমানের পাগলামিগুলো। কিন্তু কাজ শেষে ঠিকই রাহমান তাঁদের বাকরুদ্ধ করে ফেলতেন। অলকার বলা একটা গল্প খানিকটা এখানে বলা যাক। এ আর রাহমান তখন কাজ করছিলেন তাঁর প্রথম তামিল ছবি রোজার গান নিয়ে। তিনি ছিলেন চেন্নাইয়ে। সেখান থেকে মুম্বাইয়ে ফোন করলেন অলকা ইয়াগনিক আর কুমার শানুকে। কিন্তু অলকা নাকি এ আর রাহমানের নাম শুনে একটু দ্বিধায় পড়ে গেলেন। কুমার শানুকে বললেন, ‘কে এই সংগীত পরিচালক? আগে তো নাম শুনিনি। তাঁর এক কথাতেই কি চেন্নাই চলে যাওয়া যায়?’ কুমার শানুর সঙ্গে আলোচনা করে সে যাত্রায় অলকা ফিরিয়ে দেন রাহমানের প্রস্তাব। কিন্তু রোজা মুক্তি পাওয়ার পর এখন অবধি অলকার একটাই আক্ষেপ, ‘কী বড় ভুলটাই না করেছিলাম!’
এ আর রাহমানকে ঘিরে এমন অনেক গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে জয় হো। ওহ্! এত প্রশংসা যে প্রামাণ্যচিত্রের, তাঁর নেপথ্যের কারিগরের নামটিই তো বলা হলো না। তাঁর নাম উমেশ আগারওয়াল। রাহমানের সঙ্গে রাত-দিন কাটিয়ে তাঁর হাঁড়ির খবর পর্যন্ত উমেশ তুলে এনেছেন এই প্রামাণ্যচিত্রে। এটি তৈরির অভিজ্ঞতা নিয়ে উমেশ বলেন, ‘কাজটি সহজ ছিল না। রাহমান আর তাঁর কাছের মানুষদের কাছ থেকে একেবারে অজানা কথাগুলো বের করে আনতে অনেক খাটতে হয়েছে। বিশেষ করে কঠিন ছিল রাহমানের ছেলেবেলার কথাগুলো বের করে আনা।’
রাহমান নাকি প্রামাণ্যচিত্রের কাজ শুরুর আগেই বলে দিয়েছিলেন, তিনি তাঁর শৈশব আর কৈশোর নিয়ে খুব একটা কথা বলবেন না। কারণ, ওই অংশটা ছিল তাঁর জীবনের সবচেয়ে কঠিন অধ্যায়। ওই অধ্যায়টি আর উল্টেপাল্টে দেখতে চান না রাহমান। কিন্তু উমেশ নাছোড়বান্দা। তিনি রাহমানকে জয় হোর জন্য টেনে নিয়ে গেছেন সেই ক্লাসরুমে, যেখানে বসে রাহমান জানতে পেরেছিলেন তাঁর বাবার মৃত্যুসংবাদ। এভাবেই রাহমানের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া আরও অনেক বিষয়কেই আবেগপ্রবণভাবে পর্দায় তুলে ধরেছেন উমেশ তাঁর জয় হো প্রামাণ্যচিত্রে। গত ২৬ অক্টোবর প্রামাণ্যচিত্রটি দেখানো হয় ডিসকভারি চ্যানেলে। এরপর থেকে বেশ কয়েকবার তা প্রচারিত হয়ে ডিসকভারি চ্যানেল ও টিএলসিতে। তা ছাড়া ইউটিউবে জয় হো নামে প্রামাণ্যচিত্রটির অংশিবশেষ তো সবার জন্য উন্মুক্ত রয়েছেই।
দ্য হিন্দু, এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে
ডিসকভারি চ্যানেল বেশ লম্বা সময় নিয়ে তৈরি করেছে জয় হো নামের প্রামাণ্যচিত্রটি। এতে এ আর রাহমানের (আল্লাহ রাখা রাহমান) জীবনের এত খুঁটিনাটি বিষয় উঠে এসেছে যে ছবিটির শেষে রাহমান দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলেই ফেললেন, ‘এত বড় ইন্টারভিউতে সব বলার পর নিজেকে বিবস্ত্র মনে হচ্ছে। কিছুই তো আর বাকি রইল না!’
সত্যিই কিছু আর বাকি নেই। নিজের কঠিন শৈশব থেকে শুরু করে, গান নিয়ে তাঁর সংগ্রামের দিনগুলো, সুরের প্রার্থনা করে স্রষ্টার কাছে সমর্পণ করা রাতগুলো আর উপচে পড়া সাফল্যের সময়গুলো—সবই উঠে এসেছে প্রামাণ্যচিত্রে।
জয় হো প্রামাণ্যচিত্র যাঁরা দেখেছেন, তাঁদের অনেকেই বলেছেন, এতটা কাছ থেকে নাকি এর আগে কখনোই আবিষ্কার করা যায়নি রাহমানকে। তাঁর সাফল্যের প্রতিটি ধাপ ধরে ধরে তিনি কথা বলেছেন এতে। ব্যাখ্যা করেছেন তাঁর প্রতিটি কালজয়ী সুর সৃষ্টির পেছনের রহস্যের।
শুধু রাহমান নন, এই প্রামাণ্যচিত্রে রাহমানের কাছের মানুষদের দেখা মিলেছে। তাঁর প্রথম ছবির পরিচালক মণি রত্নম থেকে শুরু করে বলিউডে রাহমানের অভিষেক ঘটানো পরিচালক রাম গোপাল ভর্মা, সুভাষ ঘাই, শেখর কাপুর, ড্যানি বয়েল—সবাই প্রামাণ্যচিত্রে কথা বলেছেন রাহমানকে নিয়ে।
সংগীতশিল্পী অলকা ইয়াগনিক বলেছেন, কেমন করে তাঁরা সহ্য করতেন রাহমানের পাগলামিগুলো। কিন্তু কাজ শেষে ঠিকই রাহমান তাঁদের বাকরুদ্ধ করে ফেলতেন। অলকার বলা একটা গল্প খানিকটা এখানে বলা যাক। এ আর রাহমান তখন কাজ করছিলেন তাঁর প্রথম তামিল ছবি রোজার গান নিয়ে। তিনি ছিলেন চেন্নাইয়ে। সেখান থেকে মুম্বাইয়ে ফোন করলেন অলকা ইয়াগনিক আর কুমার শানুকে। কিন্তু অলকা নাকি এ আর রাহমানের নাম শুনে একটু দ্বিধায় পড়ে গেলেন। কুমার শানুকে বললেন, ‘কে এই সংগীত পরিচালক? আগে তো নাম শুনিনি। তাঁর এক কথাতেই কি চেন্নাই চলে যাওয়া যায়?’ কুমার শানুর সঙ্গে আলোচনা করে সে যাত্রায় অলকা ফিরিয়ে দেন রাহমানের প্রস্তাব। কিন্তু রোজা মুক্তি পাওয়ার পর এখন অবধি অলকার একটাই আক্ষেপ, ‘কী বড় ভুলটাই না করেছিলাম!’
এ আর রাহমানকে ঘিরে এমন অনেক গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে জয় হো। ওহ্! এত প্রশংসা যে প্রামাণ্যচিত্রের, তাঁর নেপথ্যের কারিগরের নামটিই তো বলা হলো না। তাঁর নাম উমেশ আগারওয়াল। রাহমানের সঙ্গে রাত-দিন কাটিয়ে তাঁর হাঁড়ির খবর পর্যন্ত উমেশ তুলে এনেছেন এই প্রামাণ্যচিত্রে। এটি তৈরির অভিজ্ঞতা নিয়ে উমেশ বলেন, ‘কাজটি সহজ ছিল না। রাহমান আর তাঁর কাছের মানুষদের কাছ থেকে একেবারে অজানা কথাগুলো বের করে আনতে অনেক খাটতে হয়েছে। বিশেষ করে কঠিন ছিল রাহমানের ছেলেবেলার কথাগুলো বের করে আনা।’
রাহমান নাকি প্রামাণ্যচিত্রের কাজ শুরুর আগেই বলে দিয়েছিলেন, তিনি তাঁর শৈশব আর কৈশোর নিয়ে খুব একটা কথা বলবেন না। কারণ, ওই অংশটা ছিল তাঁর জীবনের সবচেয়ে কঠিন অধ্যায়। ওই অধ্যায়টি আর উল্টেপাল্টে দেখতে চান না রাহমান। কিন্তু উমেশ নাছোড়বান্দা। তিনি রাহমানকে জয় হোর জন্য টেনে নিয়ে গেছেন সেই ক্লাসরুমে, যেখানে বসে রাহমান জানতে পেরেছিলেন তাঁর বাবার মৃত্যুসংবাদ। এভাবেই রাহমানের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া আরও অনেক বিষয়কেই আবেগপ্রবণভাবে পর্দায় তুলে ধরেছেন উমেশ তাঁর জয় হো প্রামাণ্যচিত্রে। গত ২৬ অক্টোবর প্রামাণ্যচিত্রটি দেখানো হয় ডিসকভারি চ্যানেলে। এরপর থেকে বেশ কয়েকবার তা প্রচারিত হয়ে ডিসকভারি চ্যানেল ও টিএলসিতে। তা ছাড়া ইউটিউবে জয় হো নামে প্রামাণ্যচিত্রটির অংশিবশেষ তো সবার জন্য উন্মুক্ত রয়েছেই।
দ্য হিন্দু, এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে
0 comments:
Post a Comment