বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
বাংলা ভাষী পাঠকদের সহজে ইন্টারনেটে বাংলায় কুরআন অনুবাদ পড়তে আগ্রহী করার লক্ষেই Muminun (http://www.muminun.net ) website টি উদিত। অনুবাদ পড়ার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেবার কারন আমি নিচে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি সেই পর্যন্ত সঙ্গেই থাকবেন।
আমার বিশ্বাস website টি আপনাদের ভাল লাগবে এবং আপনি কুরআন পড়তে উৎসাহিত হবেন। কারন এ website টি গতানুগতিক নয় এবং এর navigation খুব সহজ।
আর বাংলা লিখন software install ছাড়াই Unicode font এ বাংলায় লিখে, আয়াত খোঁজ করার সুবিধা আছে। ইসলামকে আরও জানতে এই সাইটির সঙ্গে রয়েছে সমৃদ্ধ ইসলামীক ওয়েব সাইটের লিং এবং ইসলামীক বিভিন্ন Resources (eg. free eBook, mp3, lecture, video, download, forum, blog, software etc)
বাংলায় কুরআন অনুবাদ পড়তে দেখুন:
http://www.muminun.net/bengali/
http://www.muminun.net/bengali/
আমি মনে করি নিজের ভাষায় কুরআন পড়া খুবই প্রয়োজন যদি আরবি না জানেন। কারন কুরআন বুঝে পড়ার প্রতি গুরত্ব আরপ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে একটি হাদিস উল্লেখ করা যেতে পারে।
"জুনদুব বিন আবদুল্লাহ্ (রাযিয়াল্লাহু আনহু), নবী (সাল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, যতক্ষন তোমরা কোরআ’ন ব্যাখ্যার সাথে একমত পোষণ কর ততক্ষন তোমরা কোরআ’ন তেলওয়াত কর। আর যখন তার অর্থ ও ব্যাখ্যা সম্পর্কে দ্বিমত হবে তখন সাময়িক ভাবে এর তেলাওয়াত বদ্ধ রাখবে।" (বোখারী)
আল্লাহ বলেছেন : "অবশ্যই আমি [এই কুরআন] তোমার ভাষায় সহজ করে প্রকাশ করেছি, যেনো তারা [এর উপদেশে] মনোযোগ দিতে পারে।" [৪৪:৫৮]
কুরআন আরবি ভাষায় নাজিল হওয়ার সমসাময়িকদের বুঝতে সুবিধা হয়েছিল। যদিও আরবি খুবই rich একটা language; অনুবাদের প্রকৃত অর্থ দার করাও কঠিন। কিন্ত শুরু করার জন্য প্রথমে নিজের ভাষায় পুরো কুরআন একবার শেষ করা জরুরি। এতে আগ্রহ বাড়বে এবং ভ্রান্ত চিন্তা থেকে নিস্তার পাবেন। আমি মনে করি, প্রতিদিন কুরআন পড়া নিজের ঈমান রক্ষায় সহায়কের ভুমিকা পালন করে। এবং আমার মনে হয়েছে আমরা অনেকেই পড়তে চাই কিন্তু প্রথম বাধা হিসেবে মনে করি আরবি। অজু করা/পবিত্রতা অবলম্বনের অলসতা ইত্যাদি। মনে হতে পারে এটা পড়তে পবিত্রতার প্রয়োজন কি নেই? অবশ্যই আছে, তবে কুরআনের আসল কিতাব পড়ার মত নয়। কেননা মনে রাখতে হবে কুরআনের অনুবাদ কিন্তু কুরআন নয়। অজু ছাড়াও বাংলা অনুবাদ পড়া যায়। আপনি যদি serious পাঠক হয়ে থাকেন তবে আপনাকে বলব অর্থ সহকারে original book টি পড়ুন, সম্ভব হলে ভাষা শিখে নিন।
বর্তমানে নাস্তিকতা যে পরিমান পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে, আমার মনে হয়েছে তা কুরআন না পড়া/জানার কারনেই। অনেকে নিজেকে নাস্তিক বা নাস্তিকতা হওয়াকে খোলা মনের বা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় বলে মনে করেন। এবং কুরআন না পড়েই অমূলক বাজে মন্তব্য করেন। কিন্তু আপনি যদি খোলা মনের দাবি করে থাকেন তবে এটা না পড়া/জানা কি ধরনের খোলা মনের মানসিকতা বলুন? যে কোন জানার বিষয়কে আপনার স্বাগত জানানো উচিত। তাছাড়া আপনি কিভাবে জানবেন বা মানবেন যদি নাই পড়েন আপনার সৃষ্টিকর্তা কি আদেশ নিষেধ পালন করতে বলেছেন তাঁর কিতাবে। আল্লাহ বলেছেন :
"তবে কি উহারা কুর-আন সম্বন্ধে অভিনিবেশ সহকারে চিন্তা করে না? না উহাদের অন্তর তালাবদ্ধ?" [৪৭:২৪]
"আমি তো তোমাদের প্রতি এক কিতাব অবতীর্ণ করেছি; এতে তোমাদের জন্যে উপদেশ রয়েছে। তোমরা কি বোঝ না?" [২১:১০]
ছোট দুটি উদাহরন দেই বোঝার সুবিধার্থে। ধরুন কোন এক কোম্পানির বাধ্যতামূলক নিয়ম হচ্ছে, তাদের রুল রেগুলেশন গুলো শুরুতেই পড়ে জেনে নিবেন এবং সেভাবে নিয়ম মেনে চলবেন। এখন আপনি একজন শিক্ষিত ও বুদ্ধি সম্পূর্ন কর্মচারি হিসেবে কি করবেন? নিজেই পড়ে নিবেন? নাকি অন্যের কাছ থেকে শুনে নিবেন যে পড়েছেন? নাকি কিছুই করবেন না? নিশ্চয় আপনি একমত হবেন প্রথম কাজটি করেবেন। যদিও ধরে নেই অন্যের থেকে শুনে নিবেন সেক্ষেত্রে কিন্তু বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকে এবং অনেক জরুরি নির্দেশনা missing যেতে পারে যার কারনে আপনার চাকুরিও চলে যেতে পারে! বরং তাদের সাহায্য নিতে পারেন যদি কোথাও বুঝতে সমস্যা হয়। আর যদি না পড়েন তবে ঝামেলায় তো পড়বেনই!
আবার ধরুন অজানা কোন ভাষায় আপনাকে কোথাও যেতে নির্দেশ করা হল। এবং কিভাবে যাবেন তা আপনার অজানা ভাষায় বলে দেয়া হল। আপনি যাবার সুবিধের জন্য বক্তার কথা মুখস্ত করে ফেললেন। কিন্তু এত কি আপনি কাঙ্খিত স্থানে পৌছাতে পারবেন? আপনার দরকার ভাষা উদ্ধার করা/বোঝা; তবেই পৌছাতে পারেন সুন্দর এবং ঝামেলাহীন ভাবে।
আবার ধরুন অজানা কোন ভাষায় আপনাকে কোথাও যেতে নির্দেশ করা হল। এবং কিভাবে যাবেন তা আপনার অজানা ভাষায় বলে দেয়া হল। আপনি যাবার সুবিধের জন্য বক্তার কথা মুখস্ত করে ফেললেন। কিন্তু এত কি আপনি কাঙ্খিত স্থানে পৌছাতে পারবেন? আপনার দরকার ভাষা উদ্ধার করা/বোঝা; তবেই পৌছাতে পারেন সুন্দর এবং ঝামেলাহীন ভাবে।
সবারই কুরআন পড়া উচিত। কেননা এ ব্যাপারে কেন মনকে জানা থেকে বঞ্চিত করবেন। এবং আমার বিশ্বাস, আপনি আস্তিক- নাস্তিক যে বিশ্বাসের অনুসারী হন না কেন; পড়তে শুরু করুন দেখবেন মনের অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। কুরআন খুব বিশাল পৃষ্টার গ্রন্থ নয়; দেখবেন শেষ করতে বেশি সময়ও লাগবে না। কিন্তু এটা পড়ার পড় achievement টি হবে অন্য রকম। কুরআন সম্পর্কে আমাদের বেশির ভাগ লোকের achievement ভাসা ভাসা, শুধুই আরবি পড়া অথবা শোনা। আবার আজকাল অনেক মুর্খ পন্ডিত এটা ভাবেন যে কুরআন তো ধর্মের বই এতে জ্ঞানের কি শেখার আছে এবং অন্যান্য ধর্ম এবং ধর্ম বইয়ের সঙ্গে তুলনা করেন। আমি নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি, বইটা আপনি একবার পড়ুন; আপনি আপনার সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হবেন; এই বইয়ের নিজস্ব বলার যে শক্তি তা আপনাকে মুগ্ধ করবে, কখনো বিস্মিত হবেন এবং আপনাকে চিন্তা করতে আগ্রহী করে তুলবে। এবং আপনি সত্যই যদি সৎ হৃদয়ে জানার জন্য পড়েন তবে উপকৃত হবেন।
একটা বিষয় আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন আল্লাহকে স্মরণ করা প্রয়োজন আমাদের নিজেদের প্রয়োজনে; আল্লাহর প্রয়োজনে নয়। আল্লাহ অভাব মুক্ত এবং সব কিছু থেকে পবিত্র। আমাদের বেঁচে থাকা কিম্বা নতুন সৃষ্টির জন্য existing বস্তুর সাহায্যের প্রয়োজন তা কিন্তু আল্লাহর প্রয়োজন নেই। তাঁর সৃষ্টির কোন কিছুর উপরই তিনি dependent নন। যা কিনা, বিজ্ঞান নিয়ে যারা বড়াই করেন শুধু তারাই নন, কারই পক্ষেও সম্ভব নয়। আর আমরা স্মরণ করলেই আল্লাহ কেবল আমাদের সাহায্য এবং স্মরণ করবেন সৎ পথের দিকে। আর দূরে রাখতে চাইলে তাতেও আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করবেন। যাতে আরো বিভ্রান্ত হন। ভেবে দেখুন, আল্লাহ চাইলে সব কিছুই কিন্তু নিয়মের মধ্যে তৈরি করতে পারতেন। কিন্তু তিনি আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা দিয়েছেন। আর এটাই তাঁর পরীক্ষা এবং তিনি তা দেখার অপেক্ষায় আছেন; কে তাকে না দেখে বিশ্বাস ও সৎকর্ম করেছে এবং তাঁর কথা মত চলেছে; এবং ন্যায়-অন্যায়ের জন্য বিচারের ও ভাল কাজের জন্য পুরষ্কারের ব্যবস্থা রেখেছেন। এটা যদি না থাকতো, তবে ভেবে দেখুন আপনার খারাপ-ভাল কাজে কি যায় আসে, মারা গেলে তো আর বিচারের মুখামুখি হত্তয়ারতো ভয় নেই! ধন্যবাদ আপনাকে blog টি পড়ার জন্য। আশা করছি উপকৃত হলে অন্যদের সঙ্গে share করবেন।
0 comments:
Post a Comment